“গীতা মে হৃদয়ং পার্থ গীতা মে সারমুত্তমম্।”
শ্রীরামদয়াল মজুমদার প্রণীত
এবং
১৬২ নং বহুবাজার ষ্ট্রীট্ “উৎসব” কার্য্যালয় হইতে গ্রন্থকার কর্ত্তৃক প্রকাশিত।
শ্রীশ্রীগুরুঃ
“গীতা পরিচয়” স্বতন্ত্রভাবে প্রকাশিত হল বটে, কিন্তু ইহা গ্রন্থকারের সম্পাদিত (যন্ত্রস্থ) সমগ্র “শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার”
অংশ মাত্র।
গ্রন্থকার নিজ ধর্ম-জীবনের উৎকর্ষ বিধান-কল্পে সর্ব্বশাস্ত্রময়ী গীতার মহাজন-প্রদর্শিত যে সুপ্রশস্ত
রাজপথ অবলম্বন করেছেন এবং অনুভূত বিষয়গুলি দৃঢ় করার জন্য যে যে তত্ত্ব লিপিবদ্ধ করেছেন-গীতা
পূর্ব্বাধ্যায়রূপে গীতা উপদিষ্ট হবার স্থান, কাল, পাত্র অবলম্বনে প্রাচীন সামাজিক ছবি ও আর্য্য জাতির
আদর্শ-শিক্ষা, গীতা উত্তরাধ্যায়রূপে গীতোক্ত শব্দ সমূহের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে মহাভারতাদি শাস্ত্র গ্রন্থ অবলম্বনে ধর্ম-জীবন গঠনোপযোগী অনুষ্ঠান সমূহের বিশদ বিবরণ, গীতার পাঠক্রম, অধ্যায়-নিঘন্ট, মূল, অন্বয়, প্রধান প্রধান ভাষ্য অবলম্বনে সজন সংস্কৃত টীকা, বঙ্গানুবাদ, প্রশ্নোত্তরচ্ছলে প্রতি শ্লোকের সংশয়-নিরাস, এক অধ্যায়ের সহিত অপর অধ্যায়ের সম্বন্ধ নির্ণয়, বর্ণমালা ক্রমে শ্লোক-নিঘন্ট, ভগবান্ শঙ্কর, মধুসূদন, নীলকন্ঠ, রামানুজ ও শ্রীধরস্বামীকৃত সমগ্র পাঁচটি টীকা প্রভৃতি যা যা বহু বৎসর ধরে সঙ্কলন করেছেন- গ্রন্থকারের সেই হৃদয় রত্নগুলি আমরা “শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা” নামে প্রকাশ করতে আরম্ভ করলাম- “গীতা পরিচয়” তারই অংশ মাত্র।
ইতি-
প্রকাশক
বৈশাখ ১৩১২ বঙ্গাব্দা, শকাব্দা ১৮২৭।