সোনার পাথর বাটি


গল্পে উপদেশ

এক জমিদার তাঁর গায়ের এক স্যাকরাকে ডেকে পাঠালেন। স্যাকরার হাতে একটি সোনার ডেলা দিয়ে বললেন, ‘তুমি আমার জন্য এই সোনা দিয়ে দুধ পানের উপযুক্ত একটি সুন্দর বাটি বানিয়ে দাও। তাতে যেন কোনরকমে খাদ মেশানো না হয়। সবদিক থেকে নিখুঁত সুন্দর বাটি চাই। তখন স্যাকরাটি ‘যে আজ্ঞে’ বলে সোনার ডেলাটি নিয়ে চলে গেল। তারপর সে মনে মনে ভাবল, “কি করে সোনাটিকে আত্মসাৎ করা যায়। আবার, জমিদারকে ঠকালে শাস্তি পেতে হবে।” বহু চিন্তাভাবনার পর সে ঠিক করল সোনার জলে কারুকার্য্য খচিত একটি পাথরবাটি নিয়ে জমিদার বাবুকে দেব। তারপর সেইরকম একটি বাটি নিয়ে সে জমিদার বাবুকে দেখাল। জমিদারবাবু বললেন, তুমি এ কি এনেছ ?” স্যাকরা বলল,- ‘সোনার বাটি বহু কষ্টে তৈরী করেছি।’ জমিদার বললেন, ‘আমি  তো এটা পাথরবাটি দেখছি! তুমি কি আমার সঙ্গে চালাকি করছ!’ তখন স্যাকরা বলে উঠল,‘বাবু এটা সোনার পাথর বাটি।’
—–হিতোপদেশ—–
সোনার পাথরবাটি কথাটি অর্থহীন। হয় সোনার বাটি, নয়তো পাথরের বাটি বলতে হয়। বহু ব্যক্তি আছেন, যাঁরা বলেন ‘হিন্দু বৈষ্ণব’, ‘যবন বৈষ্ণব’, ‘ব্রাহ্মণ বৈষ্ণব’, ‘শুদ্র বৈষ্ণব’, ইত্যাদি। কিন্তু যখনই বৈষ্ণব বলা হচ্ছে তখনই বুঝতে হবে তিনি কোন জাতিভেদের অন্তর্গত নন। হিন্দু বৈষ্ণব, যবন বৈষ্ণব, কাঁঠালের আমসত্ত্ব, সোনার পাথর বাটি এসব কথা নিরর্থক ও অপরাধমূলক।

স্ত্রীর কথায় স্বামী বাঁদর


এক গ্রামে স্বামী ও স্ত্রী দুইজন সুখ-স্বাচ্ছন্দে বাস করছিল। তাদের একটি পুত্র সন্তান হয়। প্রাণধন পুত্রকে তারা লালন পালন করতে থাকে। একদিন সকালবেলা এক বাঁদর খেলোয়াড় দুটি বাঁদর নিয়ে খেলা দেখিয়ে পয়সা উপার্জন করতে যাচ্ছে। ভদ্রলোক বাঁদরওয়ালাকে ডেকে বললেন- “ভাই! তুমি প্রতিদিন খেলা দেখাতে কত করে টাকা পাও? বাঁদরওয়ালা বলল- “কুড়ি, পঁচিশ টাকা হয়। ভদ্রলোক বললেন- “এসো, আমাদের ছেলেকে তুমি সারাদিন খেলা দেখাবে এবং সন্ধ্যাবেলায় তোমার মজুরি নিয়ে চলে যাবে।” ভদ্রলোকের কথামতো লোকটি বাঁদর নিয়ে বাড়িতে ঢুকল। বাঁদর দেখে ছেলেটির খুব আনন্দ হল। লোকটি খেলা দেখাতে আরম্ভ করল।

ছেলেটি বাঁদর দেখে ছুটে এল এবং সারাদিন বাঁদরের সঙ্গে খেলতে লাগল। এইভাবে খেলতে খেলতে সন্ধ্যা হয়ে আসলে বাঁদরওয়ালা তার মজুরী নিয়ে চলে গেল। তারপর পরিশ্রান্ত ছেলেকে মা স্নান করিয়ে খাওয়ার ব্যবস্থা করলেন। খাওয়ার পর ছেলেটি বিশ্রাম করল। পরে স্বামী-স্ত্রী দুইজন খাওয়া-দাওয়া করে বিশ্রাম করলেন। রাত যখন দুটো, সেই সময় ছেলের ঘুম ভেঙ্গে গেল। ছেলেটি কান্না শুরু করে এক বায়না ধরল,-“আমি বাঁদর খেলা দেখব।” তার মা যথাসাধ্য চেষ্টা করলেন তাকে সান্ত্বনা দেবার জন্য। কিন্তু সে শান্ত হচ্ছে না দেখে স্বামীকে ডাকলেন-“ ও গো! দেখ গো! তোমার ছেলের অবস্থা দেখ। ও গো! ওঠো না গো। ছেলেটি কি কান্নাই না কাঁদছে। দম আটকে গেলে তুমি কি শুনতে পাচ্ছ না?” তখন তার বাবা উঠে মাকে বললেন- “ওগো! তুমি তো মা। তুমি ওকে শান্ত করতে না পারলে আমি কি করব?” ছেলেটির মা বললেন- “ওগো! তুমি ওঠো না গো। ছেলেকে দেখ না গো।” ভদ্রলোক বললেন- “ও কি বলছে” ওর মা বললেন,- “এখনও বাঁদর খেলা দেখবে।” ভদ্রলোক বললেন- “মহা মুশকিল। এই রাত্রিতে তোমাকে কোথা থেকে বাঁদর খেলা দেখাব। কাল সকালে তোমাকে বাঁদর খেলা দেখাব।” কিন্তু ছেলেটি কিছুতেই শান্ত হচ্ছে না। ভদ্রলোকের স্ত্রী বললেন-“ওগো, তুমি বাঁদর সাজো না। তোমায় গলায় দড়ি দিয়ে আমি লাঠি দেখাব। আর তুমি খেলবে। তাহলে ছেলে নিশ্চয়ই চুপ করবে। ভদ্রলোক মনে করলেন-“বাঃ এই কথাটিই ঠিক”- ভেবে নিয়ে স্ত্রীর কথায় তিনি বাঁদরের মতো সাজলেন। ভদ্রমহিলা তার গলায় দড়ি দিয়ে লাঠি দেখাতে লাগলেন এবং ভদ্রলোক বাঁদরের মতো চেয়ার-টেবিলের উপর লাফিয়ে খেলা দেখাতে লাগলেন। এই দৃশ্য দেখে মহানন্দে ছেলেটি হাততালি দিয়ে হাসতে লাগল।
। হিতোপদেশ।
“কৃষ্ণ বহির্মুখ হইয়া ভোগবাঞ্ছা করে।
নিকটস্থ মায়া তারা জাপটিয়া ধরে।।
পিশাচী পাইলে যেন মতিচ্ছন্ন হয়।
মায়াগ্রস্থ জীবের হয় সে ভাব উদয়।।
এই জগতে জীবসকল মায়ায় আবদ্ধ হয়ে মায়ার দাসত্ব করে চলেছে। অন্যের অসৎ কথায় কোন বিচার না করে মেনে নিয়ে সুদুর্লভ জীবনকে নষ্ট করতে বসেছে। আমরা মদখোরের কথা মতো মদখোর হতে পারি, গাঁজাখোরের কথা শুনে গাঁজাখোর হতে পারি, চোরের কথা শুনে চুরি করতে পারি, স্ত্রীর কথা শুনে বাঁদর সাজতে পারি, কিন্তু এমনই দুর্দ্দৈব যে, সাধুর কথায় আমরা সৎ পথ অবলম্বন করে সাধু হতে পারি না।

সত্যবান


Image result for সত্যবান

শাল্বদেশের রাজা দ্যুমৎসেনের ঔরসে ও তাঁর স্ত্রী শৈব্যার গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন।  ঘটনাক্রমে দ্যুমৎসেন অন্ধ হয়ে গেলে তাঁর শত্রুরা তাঁকে রাজ্যচ্যুত করেন। ফলে ইনি সপরিবারে বনবাসী হন। এই সময় সত্যবান সস্ত্রীক তপস্যা করতে থাকেন। সত্যবানও মাতাপিতার সেবা করে তাপসের জীবনযাপন করতেন। বাল্যকালে সত্যবান ঘোড়া ভালোবাসতেন  এবং মাটি দিয়ে অশ্বমূর্তি নির্মাণ করতেন। সে জন্য তার নাম হয় চিত্রাশ্ব।
সাবিত্রী ছিলেন অশ্বপতি নামক রাজার একমাত্র কন্যা। মায়ের নাম ছিল মালবী। অশ্বপতি সাবিত্রীদেবীকে নিষ্ঠার সাথে পূজা করে এই কন্যা লাভ করেছিলেন। তাই এই কন্যার নামও সাবিত্রী রাখা হয়েছিল। সাবিত্রী যৌবনে উপনীত হওয়ার পর, তাঁর অসাধারণ সৌন্দর্যের কারণে, কোন সাধারণ যুবক তাঁকে বিবাহ করতে সাহসী হলেন না। পরে অশ্বপতি তাঁকে নিজের পছন্দমতো স্বামী খুঁজে নেবার অনুমতি দেন। এরপর সাবিত্রী  সদলবলে স্বামীর অনুসন্ধানে বের হন। অনুসন্ধান শেষে সাবিত্রী রাজবাড়িতে ফিরে এসে দেখেন অশ্বপতি নারদের সাথে কথোপকথন করছেন। নারদ অশ্বপতিকে সাবিত্রী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে, অশ্বপতি সাবিত্রীর বিবাহের অসুবিধার কথা বলেন। এরপর নারদের সামনেই অশ্বপতি সাবিত্রীকে অনুসন্ধানের ফলাফল বর্ণনা করতে বলেন। উত্তরে ইনি সত্যবানকে পছন্দের পাত্র হিসাবে উল্লেখ করেন। অশ্বপতি নারদকে সত্যবানের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে, নারদ সত্যবানের সবিশেষ প্রশংসা করেন এবং একই সাথে জানান যে– সত্যবান স্বল্পায়ু। এরপর অশ্বপতি সাবিত্রীকে অন্য স্বামী খুঁজে নেবার কথা বললে, সাবিত্রী সত্যবানকেই স্বামী হিসাবে গ্রহণ করবেন বলে প্রতিজ্ঞা করেন। সব শুনে নারদ সত্যবানের সাথেই সাবিত্রীর বিবাহ  দেওয়ার কথা বলেন। পরে অশ্বপতি সাবিত্রীকে সাথে নিয়ে দ্যুমৎসেনের আশ্রমে আসেন এবং সেখানেই সত্যবানের সাথে সাবিত্রীর বিবাহ হয়।
বিবাহের এক বৎসর পরই সত্যবানের মৃত্যুর দিন উপস্থিত হয়। এই দিন সত্যবান বনে ফল ও কাঠ আনার জন্য উদ্যোগ নিলে, সাবিত্রী শ্বশুরের অনুমতি নিয়ে সত্যবানের সাথে বনে যান। ফল ও কাঠ সংগ্রহ করতে করতে সত্যবান হঠাৎ শিরঃপীড়া অনুভব করে অবসন্ন হয়ে পড়ে যান। পরে সাবিত্রী সত্যবানের মাথা কোলে তুলে নিয়ে অপেক্ষা করতে লাগলেন। কিছুক্ষণ পর সাবিত্রী রক্তবস্ত্র পরিহিত বিরাটকায় এক ভয়ঙ্কর পুরুষকে সত্যবানের পাশে দেখতে পেলেন। সাবিত্রী জিজ্ঞাসা করে জানতে পারেন যে–  তিনিই যম। সত্যবান পুণ্যবান এবং সাবিত্রী পতিব্রতা বলে, যমদূতের পরিবর্তে তিনি নিজেই এসেছেন। এরপর সত্যবানকে পাশবদ্ধ করে যমকে  দক্ষিণ দিকে যেতে দেখে, সাবিত্রী যমের অনুসরণ করে অগ্রসর হলেন এবং এই অনুসরণের মধ্য দিয়েই সাবিত্রী যমের কাছ থেকে পাঁচটি বর পান।
প্রথম বর : যম সত্যবানকে নিয়ে যাবার সময় সাবিত্রী তাঁকে অনুসরণ করলে, যম সাবিত্রীকে থামতে বলেন। কিন্তু সাবিত্রী স্তব দ্বারা যমকে সন্তুষ্ট করলে, যম তাঁকে স্বামীর জীবন ছাড়া অন্য যে কোন বর প্রার্থনা করতে বলেন। তাতে তিনি শ্বশুরের অন্ধত্ব দূর হওয়ার বর প্রার্থনা করেন। তথাস্তু বলে যম সাবিত্রীকে ফিরে যেতে বলেন।
দ্বিতীয় বর : প্রথম বর পাবার পর, যম সত্যবানকে নিয়ে অগ্রসর হলে, সাবিত্রী আগের মতোই যমকে অনুসরণ করতে থাকেন। যম সাবিত্রীকে ফিরে যেতে বলেন। এরপর নানা অনুনয়-বিনয় করে তিনি যমকে মুগ্ধ করেন। এরপর সাবিত্রীকে স্বামীর জীবন ছাড়া দ্বিতীয় বর প্রার্থনা করতে বলেন। সাবিত্রী পুনরায় শ্বশুরের রাজ্যলাভ প্রার্থনা করেন।
তৃতীয় ও চতুর্থ বর : একইভাবে সাবিত্রী যমকে অনুসরণ করে, বাক্যের দ্বারা আরও দুটি বর লাভ করেন। এই বরগুলো হলো-
সাবিত্রীর পিতার শতপুত্র লাভ প্রার্থনা
সত্যবানের ঔরসে সাবিত্রীর শতপুত্র প্রার্থনা।
পঞ্চম বর : উপরের দুটি বরের কারণে, সাবিত্রী সত্যবানের ঔরসে পুত্রলাভের সৌভাগ্য লাভ করেন। কিন্তু এই সত্য রক্ষা করতে গিয়ে যম সাবিত্রীকে পঞ্চম বর দিতে বাধ্য হন। এই পঞ্চম বরটি ছিল- সত্যবান জীবিত হউন।
এরপর যম সত্যবানকে মুক্ত করে দেন এবং সাবিত্রীকে আশীর্বাদ করে বিদায় নেন। এরপর সাবিত্রী সত্যবানের অচেতন শরীরের কাছে এসে, তাঁর মাথা কোলে তুলে নিয়ে বসেন। পরে সত্যবানের সংজ্ঞা ফিরে এলে, উভয়েই আশ্রমে ফিরে যান। যমের আশীর্বাদে দ্যুমৎসেনের চক্ষু ও রাজ্যলাভ এবং অশ্বপতির শতপুত্র লাভ হয়।

শ্রী কৃষ্ণ ও ফলবিক্রেতা ভক্তের কাহিনী


Image result for krishna and fruit seller

বাল্যকালে একদিন শ্রী কৃষ্ণ তার সখাদের সাথে খেলছিলেন ।সেসময় প্রভুর ক্ষুধা পেল ।মাখন চুরি করায় যশোদা মা মাখন একটি ঘরে রেখে তালাবদ্ধ করে রেখেছেন । ঠিক সসময় এক দরিদ্র ফল বিক্রেতা মহিলা এলেন । শ্রী কৃষ্ণ ফল

বিক্রেতার কাছে ফল চাইলেন ।ফল বিক্রতা উত্তর দিল বাবা আমি আর আমার ছেলেমেয়েরা তিন দিন থেকে অনাহারে আছি । এই ফল বেচে তাদের জন্য খাবার কিনতে হবে । যদি তুমি আমাকে কিছু অন্ন অথবা অর্থ দাও তবে এসব ফল তোমাকে দিয়ে দিব ।এই কথা শুনে লীলাধারী প্রভু ঘরে অন্ন অনতে গেল ।
 
. . . . . . . . . . . . . . . . . . .
লীলা ধারী ভগবানের এই লীলা মহান
সবার কর্মফলদাতা আজ নিজেই ফল চান
ত্রিলোকিনাথ কে উত্তর তখন দেয় ফলবিক্রেতা
কিছু অন্ন দিলেই ঝুড়ির ফল দিয়ে দিবে সবকটা
একথা শুনে তখন শ্রী লীলাধারী হাসল ।
অন্ন আনতে শ্রী নাথ ঘরের ভেতরে গেল
. . . . . . . . . . . . . . . . . . .
এদিকে ঘরে গিয়ে শ্রী কৃষ্ণ দুহাতের অন্জলিতে করে চাল অর্থাত্‍ অন্ন নিয়ে আসলেন কিন্তু ছোট কৃষ্ণের হাতের অন্জলির মাঝ থেকে সব অন্ন পড়ে গেল ।এমন করে বেশ কয়েকবার গেল কিন্তু বারবারই সব অন্ন নিচে পড়ে যেতে লাগল ।অবশেষে প্রভু কান্না শুরু করল ।সেই কান্নার শব্দে সৃষ্টি বিচলিত হয়ে পড়ল ।কান্না দেখে ফলবিক্রেতা মহিলার মন গলে গেল ।বলল আমারো দুটো ছেলে আছে তাদের ক্ষিধার জন্য কান্না তিনদিন থেকে দেখছি । বাবা তোর এই কান্না দেখতে পারব না ।এই নে আমার ঝুড়ির সব ফল নে । তখন কৃষ্ণ কান্না বাদ দিয়ে একটা মধুর হাসি দিলেন ।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
অন্জলিতে অন্ন নিয়ে শ্রী ভগবান
বার বার ফলবিক্রেতার কাছে যান
কিন্তু একি অগাধ লীলা লীলাধারীর হায়
হাতে যার ব্রক্ষান্ড থাকে তার হাত অন্ন শূন্য হয়ে যায়তখন প্রভু ক্রদ্ধ হয়ে শুরু করে ক্রন্দন
সেই ক্রন্দন ধ্বনিতে বিচলিত হয় সমগ্র সৃষ্টিবাসীর মন
তখন ঐ নারী বলল হে নন্দলাল আমিও তো মা
তোমার এই ক্রন্দন আমি দেখতে পারব না
সব ফল দিয়ে ফিরে যায় ঐ নারী
মাতৃপ্রেম দেখে দ্রবীভুত হয় মুরারী
. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
এদিকে সব ফল দান করে রিক্ত ঝুড়ি নিয়ে ঘরে ফিরে আসে ঐ ফল বিক্রেতা মহিলা । মাকে ফিরতে দেখে তার ছেলেরা দৌড়ে মায়ের কাছে যায় । তার কাছে খাদ্য চায় । কিন্তু ঐ ফল বিক্রেতা তো সব ফল কৃষ্ণকে দিয়ে দিছেন ।তার কাছে অর্থ অথবা খাদ্য কিছুই নেই । তাই সে তার পুত্রদের আজও অনাহারে থাকতে বলে ।তখন একটা ছেলে সেই ঝুড়ির দিকে এগিয়ে যায় ।ভাবে যদি ফল পায় । কিন্তু গিয়ে দেখে একি সেই ঝুড়ি তো স্বর্নালংকারে ভর্তি ।ফলবিক্রেতা এই লীলা দেখে বুঝতে পারে শ্রী কৃষ্ণ সাধারন মানব না । দেবতা ।

. . . . . . . . . . . . . . . . . . .
জয় জয় জয় লীলাধারী শ্রী কৃষ্ণ ভগবান
কিছু ফলের কারনে করে দিলে ঐ ফলবিক্রেতাকে ধনবান
জয় জয় মঙ্গলভবন অঙ্গলহারী
জয় জয় জয় শ্রী কৃষ্ণ মুরারী