তুলসীর বিষয়ে আধুনিক বৈজ্ঞানিক গবেষনাগারের ফলাফল বনাম বৈদিক ঋষিদের সিদ্ধান্ত!!


বৈষ্ণবীয় সাহিত্যে তুলসী সেবন লীলা বিষয়ে এভাবে লেখা হয়েছে-

“তুলসীর ভক্তি এবে শুন মন দিয়া।
যেরুপে কৈলেন লীলা তুলসী লইয়া এক ক্ষুদ্র ভান্ডে দিব্য মৃত্রিকা পূরিয়া ।
তুলসী দেখেন সেই ঘটে আরোপিয়া প্রভু বলে আমি তুলসীরে না দেখিলে ।
ভাল নাহি বাসোঁ যেন মত্স্য বিনে জলে ।।
যবে চলে সংখ্যা নাম করিয়া গ্রহণ তুলসী লইয়া অগ্রে চলে একজন ।।
পশ্চাতে চলেন প্রভু তুলসী দেখিয়া পড়য়ে আনন্দ ধারা
শ্রীঅঙ্গ বহিয়া সংখ্যা নাম লইতে যে স্থানে প্রভু বৈসে ।
তথায় রাখেন তুলসীরে প্রভু পাশে তুলসীরে দেখেন জপেন সংখ্যা আন ।।
এ ভক্তিযোগের তত্ত্ব কে বুঝিবে আন ।
পুনঃ সেই সংখ্যা নাম সম্পূর্ণ করিয়া । চলেন ঈশ্বর সঙ্গে তুলসী লইয়া।। ।।“
….. চৈঃ ভাঃ অঃ ১৫৪ -১৬১

তুলসী পাতা এতই পবিত্র যে, এটি একমাত্র পরমেশ্বর ভগবান শ্রীবিষ্ণুর পাদপদ্ম ব্যতীত অন্য কোন দেবতা বা দেবীর চরনে তুলসীপাতা অর্ঘ্য হিসাবে দেয়া যায় না। অবশ্য লক্ষ্মীদেবীর পুজোয় তুলসী পাতার প্রয়োজন হয় না। এছাড়া সকল দেবতা দেবী পূজোর ভোগে তুলসী পাতা ও মঞ্জুর অত্যাবশ্যক। তুলসী পাতা ভিজানো জল ছটা গৃহাদি পবিত্র করনের কাজে ব্যবহার করা হয়। গভীর ধর্মীয় আঙ্গিকে হিন্দু সমাজে তুলসী গাছের এতো মহিমা প্রচার করে এবং তদানুযায়ী এর পূজন ও যত্ন করা হয়।

এখন দেখা যাক বৈজ্ঞানিক ও প্রায়োগিক ব্যাখ্যায় তুলসীগাছ বিষয়ে কি বলা আছে –

তুলসী (Tulsi/Holy Basil/ thai Krapho) একটি Lamiaceae family এর অন্তর্গত সুগন্ধি জাতীয় উদ্ভিদ যার বৈজ্ঞানিক নাম Ocimum sanctum (sanctum অর্থ পবিত্র স্থান) । হাজার হাজার বছর ধরে সাধারণত হিন্দু পরিবারে কৃষ্ঞ ও রাধা তুলসী এই দুই প্রকারে প্রাপ্ত তুলসী হিন্দু গৃহে পবিত্রতার প্রতীক হিসেবে পূজিত হয়ে আসছে। এর পিছনে গভীর রয়েছে ধর্মীয়,পরিবেশগত ও বৈজ্ঞানিক কারণ ।

ধর্মীয় কারণ :
ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণে তুলসীকে সীতাস্বরূপা, স্কন্দপুরাণে লক্ষীস্বরূপা, চর্কসংহিতায় বিষ্ণুর ন্যায় ভুমি, পরিবেশ ও আমাদের রক্ষাকারী বলে বিষ্ঞু প্রিয়া, ঋকবেদে কল্যাণী বলা হয়েছে । স্বয়ং ভগবান বিষ্ঞু, তুলসীদেবীকে পবিত্রাবৃন্দা বলে আখ্যায়িত করে এর সেবা করতে বলেছেন।

পরিবেশগত কারণ :
সাধারণতঃ উদ্ভিদ মাত্র দিনে অক্সিজেন ও রাতে কার্বডাইঅক্সাইড ত্যাগ করে। পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে তুলসীগাছ একমাত্র উদ্ভিদ যা দিন ও রাত চব্বিশ ঘণ্টা অক্সিজেন সরবরাহ করে বায়ু বিশুদ্ধ রাখে। যেখানে অন্য যেকোন গাছ রাত্রিতে কার্বন ডাই অক্সাইড ত্যাগ করে তাই রাতের বেলাতে তুলসীতলায় শয়ন করাও ব্যক্তির জন্য উপকারী। এছাড়া তুলসীগাছ ভুমি ক্ষয় রোধক এবং তুলসী গাছ লাগালে মশা কীটপতঙ্গ ও সাপ থেকে দূরে রাখে।

বৈজ্ঞানিক ও স্বাস্থ্যগত কারণ:
তুলসীতে Eugenolঅধিক পরিমাণে থাকায় তা Cox-2 Inhibitorরূপে কাজ করে বলে তা ব্যথানাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
• Hypoglycemic drugs এর সাথে তুলসী খেলে তা টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগে দ্রুত গ্লুকোজের মাত্রা কমিয়ে দেয়।
• তেজস্ক্রিয়তার ফেলে ক্ষতিগ্রস্থ কোষসমুহকে মেরামত করে।
• চর্বিজনিত হৃদরোগে এন্টি অক্সিডেন্টের ভুমিকা পালন করে।
• তুলসী একশেরও বেশি Phytochemicals(যেমন oleanolic acid ,beta caryophyllene ইত্যাদি)বহন করে বলে ক্যান্সার চিকিত্সালয় ব্যবহৃত হয়।
• তুলসীর অ্যালকোহলিক নির্যাস Immune system এর রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে।
• তুলসী স্নায়ুটনিক ও স্মৃতিবর্ধক।
• শ্বসনতন্ত্রের বিভিন্নরোগ যেমন ব্রঙ্কাইটিস, ইনফ্লুয়েঞ্জা ,হাঁপানি প্রভৃতি রোগের নিরাময়ক।
• সর্দি ,কাশি, জ্বর, বমি, ডায়ারিয়া, কলেরা, কিডনির পাথর, মুখের আলসারসহ চোখের বিভিন্ন রোগে ইহা ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
• দাঁতের রোগে উপশমকারী বলে টুথপেস্ট তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।

তুলশী পাতার এতো ভেজস গুন সেটি আধুনিক বৈজ্ঞানিক গবেষনার ভিত্তিতে প্রমাণিত সত্যি। একারণে শিক্ষিত সভ্য সমাজের এর কদর বেড়েছে। কিন্তু আজ থেকে হাজার হাজার ধরে হিন্দুরা তুলশীর মর্যাদা দিয়ে আসছেন আদি ঋষিদের সিদ্ধান্তমতে। আর্য ঋষিরা বিভিন্ন পুরাণ, মহাপূরান কিংবা সংহিতার তুলশির বিষয়েে বলেছেন -“যারা প্রত্যহ তুলসীর দর্শন, স্পর্শন, ধ্যান, গুণ কীর্তন, প্রণাম, গুণশ্রবন, রোপন, জল প্রদান ও পূজা এই নয় প্রকারে তুলসীর ভজনা করেন তারা সহস্র কোটি যুগ পর্যন্ত বিষ্ঞুলোকে বসতি লাভ করেন”। হিন্দুরা তুলশীকে পরিবারের অবিচেছদ্য অংশ ও অতীব গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসাবে বিবেচনা করে। নিত্য কর্ম হোক, পূজা কিংবা পার্বণ, বিবাহ কিংবা মৃতে অথবা যে কোন শুভ কাজে তুলশী চাই ই চাই। তুলশী না হলে হিন্দুদের সকল মাঙ্গলিক কর্মই বন্ধ থাকে।

আদিরা ঋষিরা জানতেন তুলশীর ভেজস গুন এবং সেজন্য এটির পরিচর্যা, ব্যবহার ও সেবনের পরামর্শ দিয়ে গেছেন। এখন প্রশ্ল হল হাজার হাজার বছর আগেতো কোন ল্যাব ছিলো না, যে গবেষনা করে তার ফলাফল লিখে দিতে পারে। তখন কিসের ভিত্তিতে ঋষিরা তুলসী গাছের এতো গুন আবিস্কার করেছিলেন? তাহলে শুধু তুলশীর দ্বারাই কি প্রমাণিত হয় না -বৈদিক ঋষিদের বাণী অখন্ডনীয়, অপরিবর্তণীয়?

অরুন চন্দ্র মজুমদার
mojumderarun69@gmail.com

তুলসী দেবী বহুগুণে গুণান্বিতা এই তুলসীর আরো কিছু গুণ সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক,


3822-16056-tulasi-_www.indianherbalguru.com_2

ওষুধের গুণে ভরা তুলসীর কদর সবার কাছে। তুলসীতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে। শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবেও দারুন ভূমিকা তুলসীর। ছত্রাক ও অন্যান্য জীবাণুনাশকের কাজ করে তুলসী পাতা। তাছাড়া শীত এলে শরীরে বাড়ে নানা রোগের উৎপাত। এই উৎপাত থেকে বাঁচতে তুলসীর তুলনা হয় না। আসুন জেনে নেয়া যাক, বহুগুণে গুণান্বিত এই তুলসীর আরো কিছু গুণ সম্পর্কে।

  • নিয়মিত তুলসী পাতার রস খেলে উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল কমিয়ে হৃৎপিণ্ডে রক্ত সরবরাহের মাত্রা ঠিক রাখে। লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
  • তুলসীর রস হাড়ের গিঁটে ব্যথা দূর করে। শরীরের কাটাছেঁড়া দ্রুত শুকাতে অবদান রাখে এই তুলসী।

  • শীতে বাচ্চাদের তুলসী পাতার রস খাওয়ালে কৃমি দূর হবে এবং মাংসপেশি ও হাড় হবে শক্তিশালী।

  • জ্বর হলে পানির মধ্যে তুলসী পাতা, গোল মরিচ এবং মিশ্রী মিশিয়ে ভাল করে সেদ্ধ করে নিন। অথবা এগুলো দিয়ে বড়ি বানিয়ে দিনে তিন থেকে চারটা বড়ি খান। জ্বর খুব তাড়াতাড়ি সেরে যাবে।

  • কাশি হলে তুলসী পাতা এবং আদা একসঙ্গে পিষে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খান। এতে উপকার পাবেন।

  • ডায়রিয়া হলে ১০ থেকে বারোটি পাতা পিষে রস খেয়ে ফেলুন, দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবেন।

  • মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে দিনে ৪ থেকে ৫ বার তুলসী পাতা চিবাতে পারেন। দুর্গন্ধ দূর হবে।

  • শরীরে কোনরকম ঘা হলে তুলসী পাতা এবং ফিটকিরি একসঙ্গে পিষে লাগান। উপকার পাবেন।

  • শরীরের কোন অংশ যদি পুড়ে গেলে তুলসীর রস এবং নারকেলের তেল ফেটিয়ে লাগান, এতে জ্বালাপোড়া কমে যাবে। পোড়া জায়গাটা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে এবং পোড়া দাগও ওঠে যাবে।

  • ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য, ত্বকের বলীরেখা এবং ব্রণ দূর করতে তুলসী পাতা পিষে মুখে লাগান।

  • প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া দূর করতে হলে তুলসী পাতার রস, ২৫০ গ্রাম দুধ এবং ১৫০ গ্রাম পানির মধ্যে মিশিয়ে পান করুন।

সংগ্রহে- #কৃষ্ণকমল

শুধুমাত্র তুলসী পাতার ব্যবহার করে সমাধান করুন ৬ রকমের শারীরিক সমস্যা


শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা স্কুল's photo.

সেই প্রাচীনকাল হতেই নানা শারীরিক সমস্যা সমাধানে ব্যবহার হয়ে আসছে তুলসী পাতা। তুলসী পাতার ঔষধি গুণের কারণে এটি বহুকাল ধরেই সমাদৃত ঘরোয়া চিকিৎসায়। ছোটোখাটো নানা শারীরিক সমস্যা থেকে শুরু করে মারাত্মক দৈহিক সমস্যাও দূর করতে কার্যকরী এই তুলসী পাতা। আজ জেনে নিন শুধুমাত্র তুলসী পাতার ব্যবহারে নানা শারীরিক সমস্যা সমাধানের দারুণ উপায়গুলো।

১) গলাব্যথা ও সর্দি কাশি দূর করে
ঋতু পরিবর্তনের সময় ঠাণ্ডা লেগে সর্দি কাশি হয়ে যায় এবং গলা ব্যথার সমস্যাও দেখা দেয়। এই সমস্যা দূর করবে শুধুমাত্র তুলসীপাতা। নিয়মিত তুলসী পাতার রস পান করলে ও তুলসী পাতা ফোটানো পানি দিয়ে গার্গল করলে দ্রুত সমস্যার সমাধান পাবেন।

২) মাথাব্যথা উপশম করে
অনেক সময় মানসিক চাপ, মাইগ্রেন বা অন্যান্য অনেক কারণেই মাথাব্যথা শুরু হয়ে যায়। মাথাব্যথা থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে শুকনো তুলসী পাতা পানিতে ফুটিয়ে এই পানির ভাপ নিন। খুব ভালো ফলাফল পাবেন।

৩) দাঁতের সমস্যা দূর করে
দাঁতের জীবাণু দূর করতে তুলসী পাতার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদানের জুড়ি নেই। এছাড়াও মাড়ির ইনফেকশন জনিত সমস্যা দূর করে তুলসী পাতা। সমস্যা দূর করতে শুধুমাত্র তুলসী পাতা চিবিয়ে রস শুষে নিন।

৪) জ্বর নিরাময়ে
১ মুঠো তুলসী পাতা ২ কাপ পানিতে ফুটিয়ে মধু মিশিয়ে চায়ের মতো পান করলে নানা ধরণের জ্বর যেমন ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু ইত্যাদি থেকে রক্ষা পেতে পারেন। এছাড়াও সাধারণ ঠাণ্ডা জ্বর হলে তুলসী পাতার চা তা দ্রুত নিরাময়ে সহায়তা করে।

৫) কিডনির সমস্যা দূরে রাখে
তুলসী পাতার রস দেহ থেকে ক্ষতিকর টক্সিন দূর করার ক্ষমতা রাখে। নিয়মিত তুলসী পাতার রস পান করলে কিডনির সমস্যা, কিডনি ড্যামেজ এমনকি কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কমে যায়।

৬) কানের ইনফেকশন দূর করে
অনেক সময় কানের বিভিন্ন কারণে কানের ইনফেকশনের সমস্যা দেখা দেয়। যদি প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা করতে চান তাহলে কানে কয়েক ফোঁটা তুলসী পাতার রস ফেলে দিন। তুলসী পাতার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিইনফ্লেমেটোরি উপাদান কানের ইনফেকশন ও প্রদাহ দূর করবে।

ভক্তি প্রেম রসঃ


3618422661_cd1133bb0f
সকালে ঘুম থেকে ওঠে বিছানায় বসেঃ
১। মহামন্ত্র
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।|

২। বসুমতিকে প্রণামঃ
সমুদ্র মেঘলে দেবী পর্বত নভমণ্ডলে
বিষ্ণুপত্নী নমস্যমি পাদস্পর্শ হ্মমস্বমে।।
প্রিয় দত্তায়ৈ ভুমে নমঃ।

৩। সূর্যকে প্রণামঃ আঙ্গিনায় দাড়িয়ে
জবা কুসুম সঙ্কাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিম।
ধ্বান্তারিং সর্বপাপঘ্ন্যং প্রনতোহস্মি দিবাকরম।।

৪। তুলসীকে প্রণামঃ
বৃন্দায়ৈ তুলসী দৈব্যে প্রিয়ায়ৈ কেশবস্য চ।
কৃষ্ণভক্তি প্রদেদেবী সত্যবত্যৈ নমো নমঃ।।

৫। স্নান করার মন্ত্রঃ
গঙ্গেচ যমুনাশ্চৈব গোদাবরী সরস্বতী।
নর্মদে সিন্ধু কাবেরী জলে হস্মিন সন্নিধিকুরু।।

৬। সমস্ত তীর্থকে আহবানঃ
নমো কুরুহ্মেত্রং গয়া গঙ্গা প্রভাস পুস্করানিচ।
তীর্থেন্যে তানি পুণ্যানি স্নানকালে ভবন্তিহ।।

৭। পবিত্র হওয়ার মন্ত্রঃ
নমো অপবিত্র পবিত্রোবা সর্বাবস্থায় গতোহপিবা।
যদস্মরেত্‍ পুণ্ডরীকাহ্মং সঃ বাহ্যভ্যন্তর শুচিঃ।।

৮। দেহশুদ্ধির মন্ত্রঃ
পাপোহং পাপকর্স্মহং পাপাত্মা পাপ সম্ভবা।
ত্রাহিমা পুণ্ডরীকাহ্মং সর্ব্বোপাপো হরো হরি।।

৯। তুলসী গাছে জল দিবার মন্ত্রঃ
গোবিন্দ বল্লভাং দেবী ভক্ত চৈতন্য কারিনী।
স্নাপযামি জগদ্ধাত্রীং কৃষ্ণভক্তি প্রদায়িনী।।

১০। আচমন করার মন্ত্রঃ
ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু।
ওঁ তদ্বিষ্ণু পরমং পদং সদাপশ্যান্তি সুরয়। দিবিব চহ্মুরাততম।

১১।তিলক গুলিবার মন্ত্রঃ
নমো কেশবান্ত গোবিন্দ বরাহ পুরুষোত্তম।
পুর্ন্যযাস্যমায়ুরস্য তিলকং মে প্রসাদতু।।

১২। গুরুর প্রণাম মন্ত্রঃ
গুরু ব্রহ্মা গুরু বিষ্ণু গুরুদেবো মহেশ্বরঃ ।
গুরুরেব পরম ব্রহ্ম তস্মৈ শ্রীগুরুবে নমঃ। ।
এরপর
আহ্ণিক /গুরু বীজমন্ত্র
ঐং শ্রী গুরুবে নমঃ।

১৩। দেব দেবী ও মহাপুরুষের নামঃ (৬৭ জন )
ক) কৃষ্ণায় নমঃ কৃষ্ণায় নমঃ কৃষ্ণায় নমঃ। কার্ত্তবীর্যাজ্জুন শংকরাচার্য মার্কণ্ড মুনি। নমো ভগবতে শিবায় নম। নমো দুর্গায় নমঃ, নমো দুর্গায় নমঃ । ব্রাহ্মণ্যেভ্যা ব্রাহ্মণ্যেভ্যা ব্রাহ্মণ্যেভ্যা। স্বরূপ দামোদর রায় রামানন্দ শিখিমাইতি মাধবীলতা।

খ) কৃষ্ণায় কৃষ্ণভক্তায় তদভক্তায় নমো নমঃ। শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ শ্রীঅদ্বৈত গদাধর শ্রীবাসাদি গৌর ভক্তবৃন্দ। জয়রূপ সনাতন ভট্ট রঘুনাথ। শ্রীজীব গোপাল ভট্ট দাস রঘুনাথ। শ্রীবত্‍স চিন্তা তাল বেতাল। কর্কটক ঋতুপর্ণ দময়ন্তি নল। আস্তিক মুনি আস্তিক মুনি আস্তিক মুনি।

গ) যুধিষ্ঠির ভীম অর্জুন নকুল সহদেব। ধ্রুব প্রহল্লাদ নারদ ব্যাসদেব শুকদেব পরীহ্মিত মহারাজ অম্বরীষ মহারাজ। ধরা দ্রোণ রুহিদাস যাজ্ঞসেনী খণ্ডবাসী নরহরি অদ্বৈতাচার্য সীতাদেবী উড়িয়া গৌড়িয়া সেন শিবানন্দ রায় ভবানন্দ। তেত্রিশ কোটি দেবদেবী আশীর্বাদ কর শ্রীকৃষ্ণ পদে যেন শুদ্ধাভক্তি হয় এবং প্রভুর লীলা যেন আরোপে দর্শণ করতে পারি।

১৪। গীতার ১৮ টি নাম ৫১ বার
১। গঙ্গাঁ ২। গীতা ৩। সাবিত্রী ৪। সীতা ৫। সত্যা ৬। পতিব্রতা ৭। ব্রহ্মাবলী ৮। ব্রহ্মাবিদ্যা ৯। ত্রিসন্ধ্যা ১০। মুক্তিগেহিনী ১১। অর্ধমাত্রা ১২। চিতা ১৩। নন্দা ১৪। ভবগ্নী ১৫। ভ্রান্তিনাশিনী ১৬। বেদত্রয়ী ১৭। পরানন্দা ১৮। তত্ত্বার্থজ্ঞানমঞ্ছুরী

১৫। মঘা নহ্মত্র সন্তুষ্টির জন্যঃ
ওঁ শিবায় নমঃ , ওঁ পুলকায় নমঃ, ওঁ নারায়ণ নমঃ

১৬। ১৬ নাম জপঃ
ক। সর্বকাজে শ্রী মাধবায় নমঃ, ওষুধে শ্রী বিষ্ণু, সংকটে শ্রী মধুসূদন, দুঃস্বপ্নে শ্রী গোবিন্দ,
ঘুমানোর সময় শ্রী পদ্মনাভঞ্চ, ভোজনে শ্রী জনার্দন। বিবাহে প্রজাপতি, গমনে বামনদেব

খ। অগ্নি জলসাই, জলে বরাহঞ্চ, কাননে নরসিংহ, প্রবাসে ত্রিবিক্রম, যুদ্ধে চক্রধরদেবং,
মৃত্যুর সময় নারায়ণা, স্ত্রী সহবাসে শ্রীধরায়, পর্বতে প্রভুনন্দন।

১৭। ক) সরস্বতী জপ মন্ত্রঃ
পূজা মন্ত্রঃ ঐং সরস্বত্যে নমঃ ১০৮
নারায়ণং নমোষ্কৃত্ত্যং নরাঞ্চৈবং নরোত্তমং দেবিং ।
সরস্বতী ব্যসং তত জয়েত্‍ মুদি রয়েত্‍ ।।
মূকং করোতি বাচালং পঙ্গুং লঙ্ঘয়তে গিরিম্ ।
যত্‍কৃপা তমহং বন্দে পরমানন্দমাধবম্ ।।
সরস্বতী দেবী কী জয়ঃ/ প্রণামঃ
ক) নমো সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমল লোচনে।
বিশ্বরূপে বিলালাহ্মী বিদ্রাং দেহি সরস্বতী।।

খ) জয় জয় দেবী চরা চর মাঝে কুচ যুগ শোভিত মুক্তাহারে।
বীণারঞ্জিত পুস্তক হস্তে ভাগবতী ভারতী দেবী নমোহস্ততে।।

১৮। সংক্রান্তির দিনঃ
ওঁ নমো শ্রী বিষ্ণু ৩০ বার জপ

১৯। পবিত্র বন্ধনের জন্যঃ
১। ওঁ বিষ্ণু , ওঁ বিষ্ণু , ওঁ বিষ্ণু
২। ওঁ শিবায় নমঃ, ওঁ শিবায় নমঃ, ওঁ শিবায় নমঃ।

২০। যজ্ঞের তিলক ধারণঃ মধ্যমিকা আঙ্গুল দিয়ে

২১। উন্নতি জপঃ ৫ বার
শ্রী কৃষ্ণায় বাসুদেবায় । হরয়ে পরমাত্বমেঃ প্রণত ক্লেশ নাশায় ।।

মন্দিরে সহজ প্রার্থনাঃ
২২। শ্রীগুরু কী জয়/ প্রণামঃ
গুরু ব্রহ্মা গুরু বিষ্ণু গুরুদেবো মহেশ্বরঃ ।
গুরুরেব পরম ব্রহ্ম তস্মৈ শ্রীগুরুবে নমঃ। ।১
২৩। শ্রী বৈষ্ণব কী জয়/ প্রণামঃ
বাঞ্ছাকল্প তরুভ্যশ্চ কৃপাসিন্ধুভ্য এব চ।
পতিতানাং পাবনেভ্যা বৈষ্ণবেভ্যে নমো নমঃ ।।

২৪। শ্রী গৌরাঙ্গ কী জয়/ প্রণামঃ
নমো মহাবদান্যায় কৃষ্ণপ্রেম প্রদায় তে।
কৃষ্ণায় কৃষ্ণচৈতন্যানাম্নে গৌরত্বিষে নমঃ।।

২৫। শ্রীকৃষ্ণ কী জয়/ প্রণাম
হে কৃষ্ণ করুণাসিন্ধো দীনবন্ধো জগত্‍পতে।
গোপেশ গোপীকাকান্ত রাধাকান্ত নমোহস্ত তে।।

২৬। শ্রীমতি রাধারাণী কী জয়/ প্রণামঃ
তপ্ত কাঞ্চন গৌরাঙ্গী রাধে বৃন্দাবনেশ্বরি।
বৃষভানুসুতে দেবী প্রণামামী হরিপ্রিয়ে।।

২৭। পঞ্চতত্ত্ব কী জয়/ বন্দনাঃ
জয় শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ
শ্রী অদ্বৈত গদাধর শ্রী বাসাদি গৌর ভক্তবৃন্দ

২৮। মহামন্ত্র কী জয়/
হরে কূষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।

২৯। তুলসী দেবী কী জয়/ প্রণামঃ
বৃন্দায়ৈ তুলসী দৈব্যে প্রিয়ায়ৈ কেশবস্য চ।
কৃষ্ণভক্তি প্রদেদেবী সত্যবত্যৈ নমো নমঃ।।

৩০। জগন্নাথ, বলরাম সুভদ্রা দেবী কি জয়। নৃসংহ দেবতা কি জয়

৩১। শিব কী জয়/ প্রণামঃ
নমঃ একদন্তং মহাকায়ং লম্বোদর গজাননম।
বিঘ্ননাশকরং দেবং হেরম্বং প্রণামাম্যহম।।

৩২। মা দূর্গা কী জয়/ প্রণামঃ
যা দেবী সর্বভূতেষু মাতৃরূপেণ সংস্থিতা
নমোস্তৈ নমোস্তৈ নমোস্তৈ নমো নমঃ

৩৩। মা কালী কী জয়/ প্রণামঃ
ক) ওঁ সর্ব মঙ্গল মঙ্গল্যে শিবে সর্বার্থ সাধিকে।
শরণ্য ত্রম্বকে গৌরি নারায়াণি নমোস্তুতে।।১

খ) সৃষ্টি স্থিতি বিনাশনম শক্তিভূতে সনাতনী।
গুণাশ্রয়ে গুণাময়ে নারায়াণি নমোস্তুতে।। ২

গ) শরণাগত দীনার্ত পরিত্রাণ পরায়ণে
সর্বস্যার্তি হরে দেবী নারায়াণি নমোস্তুতে।। ৩

৩৪। সিদ্ধিদাতা গণেশ কী জয়ঃ

৩৫। লহ্মী দেবী কী জয়ঃ

৩৬। বাবা কার্তিক কী জয়

৩৭। কুবের ঠাকুর কী জয়/
ওঁ কুবেরায় নমঃ
৩৮। বাবা হনুমান, মা মনসা দেবী কী জয়।

৩৯। বাবা লোকনাথ কী জয়ঃ
জয় বাবা লোকনাথ, জয় মা লোকনাথ, জয় গুরু লোকনাথ, জয় শিব লোকনাথ, জয় ব্রহ্ম লোকনাথ।
হে তেত্রিশ কোটি দেবতা আমাকে আশীর্বাদ করো। সৃষ্টির জীব পরিবারবর্গাবলী বংশাবলী এবং অধমকে কৃপা কর। আমাদের সুখী সমৃদ্ধ দরদী পরিবারে পরিণত কর|
যে কোন সিদ্ধি সাধনের জন্য গীতার শ্লোকঃ

গুরুদেবের নির্দেশে এই ল্লোকগুলো পাঠ করতে হবেঃ (বিদ্রঃ যার যেটা প্রয়োজন সে সেটা পাঠ করবে।)

পাঠবিধিঃ
শুদ্ধভাবে পূর্বমুখী বা উত্তরমুখী হয়ে বসে প্রথমে আচমন এবং আসনাদি শুদ্ধ করবে এরপর গীতা পাঠ করবে।

৪০। যে কোন কাজে সফলতার জন্যঃ শ্রীমদ্ভগবত গীতা ৯ অধ্যায় ২২ নং শ্লোকঃ

অনন্যাশ্চিন্তয়ন্তো মাং যে জনাঃ পর্য্যুপাসতে ।
তেষাং নিত্যাভিযুক্তানাং যোগহ্মেমং বহামাহম ।। ৯/২২

অর্থঃ অনন্যচিত্ত হয়ে আমার চিন্তা করিতে করিতে যে ভক্তগণ আমার উপাসনা করেন, আমাতে নিত্যযুক্ত সেই সমস্ত ভক্তের যোগ ও হ্মেম আমি বহন করে থাকি। (আমাদের প্রয়োজনীয় অলব্ধ বস্তুর সংস্থান এবং লব্ধ বস্তুর রহ্মণ আমি করে থাকি।)

৪১। শাস্ত্র বিষয়ে বিজ্ঞ এবং অন্তিম মহুর্ত্তে সঠিক সিদ্ধান্তের জন্য

শ্রীমদ্ভগবত গীতা ১৮ তম অধ্যায় ৭৮ নং শ্লোকঃ

যত্র যোগেশ্বরঃ কৃষ্ণো যত্র পার্থো ধনুর্দ্ধরঃ ।
তত্র শ্রীর্বিজয়ো ভূতির্ধ্রুবা নীতির্মতির্মম ।। ১৮/৭৮

অর্থঃ যে পহ্মে যোগেশ্বর কৃষ্ণ এবং যে স্থলে ধনুর্দ্ধর পার্থ সেই স্থানে বিজয়, রাজলহ্মী উত্তরোত্তর ঐশ্বয্যবৃদ্ধি ও অখণ্ডিত রাজনীতি আছে ইহাই আমার মত।
যুক্তি ও শক্তি মিলিত হইলেই কার্যসফলতা সম্ভবপর। শুধু মাত্র শক্তি ও বুদ্ধি দ্বারা কৃতকার্য হওয়া যায় না।

৪২। ক) সর্বত্র ভগবত প্রাপ্তির জন্য ভগবানকে পাওয়ার জন্য

শ্রীমদ্ভগবত গীতা ৭ম অধ্যায় ৭ নং শ্লোকঃ

মত্তঃ পরতরং নান্যত্‍ কিঞ্চিদস্তি ধনঞ্জয়।
ময়ি সর্ব্বমিদং প্রোতং সূত্রে মণিগণা ইব।। ৭/৭

অর্থঃ হে ধনঞ্জয়, আমা অপেহ্মা শ্রেষ্ঠ পরমার্থ তত্ত্ব অন্য কিছুই নাই। সূত্রে মণি সমুহের ন্যায় সর্ব্বভূতের অধিষ্ঠানস্বরূপ আমাতে এই সমস্ত জগত্‍ রয়েছে।

৪২। খ) শ্রীমদ্ভগবত গীতা ৭ম অধ্যায় ১৯ নং শ্লোকঃ

বহূনাং জন্মনামন্তে জ্ঞানবান্মাং প্রপদ্যতে।
বাসুদেবঃ সর্ব্বমিতি স মহাত্মা সুদুর্লভঃ।। ৭/১৯

অর্থঃ জ্ঞানী ভক্ত অনেক জন্মের সাধানাফলে “বাসুদেব সমস্ত ” এইরূপ জ্ঞান লাভ করে আমাকে প্রাপ্ত হন। এইরূপ মহাত্মা অতি দুর্লভ।

৪৩। ক) ভগবত ভক্তির জন্য ঃ শ্রীমদ্ভগবত গীতা ৯ম অধ্যায় ৩৪ নং শ্লোকঃ
মন্মনা ভব মদ্ভক্তো মদযাজী মাং নমস্কুরু।
মামেবৈষ্যসি যুক্ত্বৈবমাত্মানং মত্‍পরায়ণঃ ।। ৯/৩৪

অর্থঃ তুমি সর্ব্বদা মনকে আমার চিন্তায় নিযুক্ত কর, আমাতে ভক্তিমান হও আমার পূজা কর আমাকেই নমস্কার কর এইরূপে মত্‍পয়ায়ণ হয়ে আমাতে মন সমাহিত করতে পারলে আমাকেই প্রাপ্ত হবে।

৪৩। খ) শ্রীমদ্ভগবত গীতা ১১ তম অধ্যায় ৫৪ নং শ্লোকঃ

ভক্ত্যা ত্বনন্যয়া শক্য অহমেবংবিধোহর্জ্জুন।
জ্ঞাতুং দ্রষ্টুঞ্চ তত্ত্বেন প্রবেষ্টুঞ্চ পরন্তপ।। ১১/৫৪
অর্থঃ হে পরন্তপ হে অর্জুন কেবল অনন্যা ভক্তি দ্বারাই ঈদৃশ আমাকে স্বরূপতঃ জানতে পারা যায় সাহ্মাত্‍ দেখিতে পারা যায় এবং আমাতে প্রবেশ করতে পারা যায়।

৪৩। গ) শ্রীমদ্ভগবত গীতা ১১ তম অধ্যায় ৫৫ নং শ্লোকঃ
মত্‍কর্ম্মকৃন্মত্‍পরমো মদ্ভক্ত সঙ্গবর্জ্জিতঃ।
নির্ব্বৈরঃ সর্বভূতেষু যঃ স মামেতি পাণ্ডব ।। ৫৫

অর্থঃ হে পাণ্ডব যে ব্যক্তি আমারই কর্মবোধে সমুদয় কর্ম করেন আমি যার একমাত্র গতি যিনি সর্বপ্রকারে আমাকে ভজনা করেন যিনি সমস্ত বিষয়ে আসক্তিশূন্য যার কার উপর শত্রুভাব নাই তিনিই আমাকে প্রাপ্ত হন।

এছাড়া ভগবত ভক্তির জন্য
নিম্ন বর্ণিত আরো শ্লোক পাঠ করা যার ১২ তম ৮ নং শ্লোক, ১৮ তম ৬৬ নং শ্লোক

ভক্তি প্রেম রসঃ চতুর্থ পর্বঃ

৪৪। কোন সমস্যা সমাধানের জন্য

শ্রীমদ্ভগবত গীতা ২য় অধ্যায় ৭ নং শ্লোকঃ

কার্পণ্যদোষাপহতস্বভাবঃ
পৃচ্ছামি ত্বাং ধর্ম্মসংমূঢচেতাঃ ।
যচ্ছ্রেয়ঃ স্যান্নিশ্চিতং ব্রূহি তন্মে
শিশ্যস্তেহহং শাধি মাং ত্বাং প্রপন্নম্ ।। ২/৭

অর্থঃ আমি কর্তব্য স্থির করতে পারছি না। আমি তোমার শিষ্য ও তোমার শরণাপণ্ণ। আমাকে উপদেশ দাও।

৪৫। কোন কথায় সমস্যা সমাধানের জন্য
শ্রীমদ্ভগবত গীতা ৩য় অধ্যায় ২ নং শ্লোকঃ

ব্যামিশ্রেণেব বাক্যে ন বুদ্ধিং মোহয়সীব মে ।
তদেকং বদ নিশ্চিত্য যেন শ্রেয়োহহমাপ্পুয়াম্ ।। ৩/২

অর্থঃ যা করিলে আমার মঙ্গল হবে, আমাকে সেই বিষয়েই উপদেশ দাও।

৪৬। ভুত প্রেত থেকে মুক্তির জন্য

শ্রীমদ্ভগবত গীতা ১১ তম অধ্যায় ৩৬ নং শ্লোকঃ

স্থানে হৃষীকেশ তব প্রকীর্ত্ত্যা
জগত্‍ প্রহৃষ্যত্যনুরজ্যতে চ
রাহ্মাংসি ভীতানি দিশো র্দ্রবন্তি
সর্ব্বে নমস্যন্তি চ সিদ্ধসঙ্ঘাঃ ।।

অর্থঃ অর্জুন বলিলেন হে হৃষীকেশ, তোমার মাহাত্ম কীর্ত্তনে সমস্ত জগত্‍ যে হৃষ্ট হয়, তোমার প্রতি অনুরক্ত হয় তা যুক্তিযুক্ত। রাহ্মসেরা যে তোমার ভয়ে ভীত হযে