শ্রী অরবিন্দ ঘোষ




শ্রী অরবিন্দ ঘোষ (জন্মঃ- ১৫ আগস্ট, ১৮৭২ – মৃত্যুঃ- ৫ ডিসেম্বর, ১৯৫০) স্বাধীনতা সংগ্রামী।

১৯০৫-০৬ সালের মধ্যে ভারতের সর্বত্র বঙ্গভঙ্গ বিরোধী স্বদেশি ও বয়কট আন্দোলন গড়ে ওঠে। বয়কট আন্দোলন ধীরে ধীরে স্বরাজলাভের আন্দোলনে রূপ নিতে শুরু করে। ঠিক এমন সময় বরোদা থেকে শ্রী অরবিন্দ ঘোষ কলকাতায় চলে আসেন। তিনি বারোদা’র রাজ কলেজে ভাইস-প্রিন্সিপাল হিসেবে চাকুরি করতেন। তখন তার মাইনে ছিল ১৫০০ টাকা। এত বড় অংকের মাইনে পরিত্যাগ করে তিনি কলকাতায় এসে ১৫০ টাকা মাইনেতে ন্যাশনাল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে চাকুরি নেন। এর পিছনে মূল কারণ ছিল বরোদা থেকে বিপ্লবী দল পরিচালনা করতে তার খুবই অসুবিধা হচ্ছিল। বারবার কলকাতায় আসা-যাওয়া করে বিপ্লবী কাজ যথা সময়ে সম্পাদন করা যেত না। যদিও অরবিন্দ ঘোষ বরোদা থাকাকালীন সময় থেকেই কলকাতার বিপ্লবী কাজকর্ম এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভ্রাতা বারীন ঘোষকে প্রতিনিয়ত চিঠিপত্র লিখতেন। মাতৃভূমির বুকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শাসনকে মেনে নিতে পারছিলেন না অরবিন্দ। তাই ব্রিটিশ শাসকগোষ্ঠীকে উচ্ছেদ করার জন্য এবং সুবিধামত বিপ্লবী কর্মকাণ্ড পরিচালনা ও সংগঠিত করার প্রয়োজনে তিনি কলকাতায় চলে আসেন।
১৯০২ সালে বারীন্দ্র কুমার ঘোষ লন্ডন থেকে কলকাতায় আসেন। কলকাতার এসে তিনি ব্রিটিশবিরোধী বিদ্রোহের বহ্নি ছড়াতে থাকেন। কিন্তু বাঙালি ভদ্রলোকেরা মোটেই সাড়া দেয়নি। বিফল হয়ে তিনি বরোদায় বড়দাদা অরবিন্দ ঘোষের নিকট যান। বারীন্দ্র বরোদায় বসে অনুধাবন করেন, রাজনীতিতে ধর্মের সঙ্গে একীভূত না করলে কেবল রাজনৈতিক আন্দোলনে কাজ হবে না। এজন্য তিনি গীতা পাঠের সঙ্গে রাজনীতির পাঠ দেবার উদ্দেশ্যে অনুশীলন সমিতির পরিকল্পনা করেন ও উপযুক্ত সময়ের অপেক্ষা করতে থাকেন।
কলকাতায় আসার পর অরবিন্দের অনুপ্রেরণায় ও তার ভ্রাতা বারীন্দ্রকুমার ঘোষের নেতৃত্বে কলকাতার ৩২ নম্বর মুরারীপুকুরে তৈরি হয় সশস্ত্র বিপ্লবী অনুশীলন সমিতি (দল)। ৩২ নম্বর মুরারীপুকুর রোডের বাগানবাড়িটি ছিল বারীন ঘোষদের পৈত্রিক সম্পত্তি। সশস্ত্র বিপ্লবী নেতা বারীন ঘোষ তার দলের আখড়া গড়েছিলেন এই মুরারীপুকুরের বাগানবাড়িতে। এই বাগানবাড়ির মাঝখানে ছিল ছোট ধরনের একটি পাকাবাড়ি। বাড়িটির চতুর্দিকে ছিল গাছপালা। দাদা অরবিন্দ ঘোষ এবং অপর দুই ভাই মনোমোহন ঘোষ ও বিনয় ঘোষ এই বাগানবাড়িটিতে বসবাস করতেন। বারীন ঘোষের দাদা অরবিন্দ ঘোষ ছিলেন বিপ্লবীদের শ্রদ্ধেয় নেতা ও স্বদেশি কাগজ ‘বন্দেমাতরম্’ পত্রিকার সম্পাদক। তার সঙ্গে পরামর্শ করেই বারীন ঘোষ, উল্লাসকর দত্ত, উপেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি, হেমচন্দ্র ঘোষ, অবিনাশ ভট্টাচার্য’র মতো বিপ্লবী নেতৃত্ব দলের নীতি নির্ধারণ করতেন। এক সময় ওই ৩২ নম্বর মুরারীপুকুরের বাগানবাড়িটি হয়ে উঠে সশস্ত্র বিপ্লবীদের মূল কেন্দ্র।
১৯০৩ সালে কলকাতায় প্রমথ মিত্র ও চিত্তরঞ্জন দাস প্রথমে ‘অনুশীলন সমিতি’ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রমথ মিত্র ১৯০৫ সালে বিপিন চন্দ্র পালের সঙ্গে ঢাকায় এসে অনুশীলন সমিতির একটি শাখা স্থাপন করেন এবং ঢাকা অনুশীলন সমিতির দায়িত্ব পড়ে পুলীন বিহারী দাসের উপর। এই সমিতির কেন্দ্র ছিল ঢাকার ওয়ারিতে। বহু দেশপ্রেমিক যুবক স্বাধীনতার মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে যোগ দিয়েছিলেন এই বিপ্লবী অনুশীলন দলে। দলের সদস্যরা বিদেশি শাসকের বুকে আঘাত হানতে লাঠি খেলা, ছোরা ও আগ্নেয়াস্ত্র চালানোর শিক্ষা গ্রহণ শুরু করেন। দ্বিতীয় দল ‘যুগান্তর’ সমিতির জন্ম হয় ১৯০৬ খৃস্টাব্দের দিকে কলকাতায়। অরবিন্দ ঘোষ ও বারীন্দ্র ঘোষ ‘যুগান্তর’ সমিতি পরিচালনা করেন।
১৯০৩ থেকে ১৯০৫ সাল ছিল বাংলাদেশে বিপ্লবের বাণী প্রচারের অধ্যায়। এই সময়েই প্রকাশিত হতে থাকে সন্ধ্যা, বন্দেমাতরম, যুগান্তর প্রভৃতি পত্রিকা। সখারাম গণেশ দেউস্কর, পি মিত্র, যতীন বন্দ্যোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে বৈপ্লবিক অভ্যুত্থানের নানা তাত্ত্বিক এবং ব্যবহারিক দিক সম্পর্কে বিপ্লবী যুবকদের শিক্ষাদান পর্ব চলে। ১৯০৪ সালে অরবিন্দ ঘোষ আবার বাংলাদেশে আসেন। তখন তার ভ্রাতা বারীন ঘোষ অনুশীলন সমিতিতে যোগদান করেন।
১৯০৫ সালে কার্জন সাহেবের বঙ্গভঙ্গের পরিকল্পনা সমগ্র বঙ্গদেশকেই আলোড়িত করে তোলে। বিক্ষুব্ধ বঙ্গবাসীরা বিদ্রোহের ধ্বজা নিয়ে আন্দোলনের পথে অগ্রসর হয়। ১৯০৬ সালে অরবিন্দ স্থায়ীভাবে বাংলাদেশে বসবাসের জন্য আসেন এবং বঙ্গবাসীকে বিপ্লবের মন্ত্রে দীক্ষিত করার অভিযান শুরু করেন। এই সময়ে বারুইপুরে ও উত্তরপাড়ায় তার জ্বালাময়ী ভাষণ ইতিহাস হয়ে রয়েছে। ভগিনী নিবেদিতাও তখন বিপ্লববাদী যুবকদের সাহায্য করতে থাকেন। এই সময়ে বিপ্লববাদীদের প্রচারের ধারার নিদর্শন হিসাবে ১৯০৬ সালের একটি লেখার উল্লেখ করা যেতে পারে। বাংলার বিপ্লবীদের মুখপত্র ‘যুগান্তর’ ১৯০৬ সালে বরিশালে ব্রিটিশ শাসকদের নিষ্ঠুর দমনপীড়নের পর ২৬ এপ্রিল সম্পাদকীয়তে খোলাখুলি লিখল:
‘দেশের ৩০ কোটি মানুষ যদি তাদের ৬০ কোটি হাত প্রতিরোধের প্রতিজ্ঞায় তুলে ধরে তবেই বন্ধ হবে এ অত্যাচার। একমাত্র শক্তি দিয়েই শক্তির প্রকাশকে স্তব্ধ করা সম্ভব।’
ব্রিটিশ শাসকদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাবার জন্য বাংলার যুবকেরা তখন জেগে উঠেছে। যেখানেই ইংরেজের অত্যাচার দেখছে সেখানেই তারা প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
এই প্রতিবাদের জন্য তারা নির্যাতিত হতে থাকে। নির্যাতনের প্রতিবাদে বাঙলার দিকে দিকে বিক্ষোভ দানা বেধে ওঠে। এই বিক্ষোভকে সংগঠিত রূপ দেবার জন্য অরবিন্দের বিপ্লবী মন্ত্রে দীক্ষিত যুবকরা সংঘবদ্ধ হন। ব্রিটিশ শাসকদের নির্যাতন যতই বাড়তে থাকল, বাংলাদেশে সশস্ত্র বৈপ্লবিক অভ্যুত্থানের বিষয়টি ততই প্রবল হয়ে উঠতে লাগল। ঝামাপুকুর ও মানিকতলায় বোমা তৈরির কেন্দ্র গড়ার প্রচেষ্টা চলল। বিপ্লবের এই গোপন আয়োজন ক্রমে ক্রমে মেদিনীপুর, চন্দননগর, কৃষ্ণনগর, শ্রীহট্ট, বগুড়া, রংপুর, বরিশাল, ঢাকাতেও ছড়িয়ে পড়ল। অনুশীলন সমিতির শক্তিশালী কেন্দ্র গড়ে উঠলো ঢাকায়।

অরবিন্দ ঘোষ জন্মগ্রহন করেন কোলকাতায়, বাবা কৃষ্ণধন ঘোষ ছিলেন তৎকালীন বাংলার রংপুর জেলার জেলা সার্জন। মা স্বর্ণলতা দেবী, ব্রাহ্ম ধর্ম অনুসারী ও সমাজ সংস্কারক রাজনারায়ণ বসুর কন্যা।

রংপুরে তাঁর বাবা ১৮৭১ এর অক্টোবর থেকে কর্মরত ছিলেন, অরবিন্দ রংপুরে জীবনের প্রথম পাঁচ বছর পার করেন। ড ঘোষ এর আগে বিলেতের কিংস কলেজে চিকিৎসা শাস্ত্রে লেখাপড়া করেন। তিনি সন্তানদের ইংরেজি পন্থায় এবং ভারতীয় প্রভাব মুক্ত শিক্ষাদানের মনোভাব পোষণ করতেন। তাই ১৮৭৭ সালে দুই অগ্রজ সহোদর মনমোহন ঘোষ এবং বিনয়ভূষণ ঘোষ সহ অরবিন্দকে দার্জিলিঙ্গের লোরেটো কনভেন্টে পাঠান হয়।

বিলেত (১৮৭৯–১৮৯৩)
লোরেট কনভেন্টে দুই বছর লেখাপড়ার পর ১৮৭৯ সালে দুই সহোদর সহ অরবিন্দকে বিলেতের ম্যাঞ্চেস্টার শহরে পাঠান হয় ইউরোপীয় শিক্ষালাভের জন্য। জনৈক রেভারেন্ড এবং শ্রীমতি ড্রিয়ুইটের তত্ত্বাবধানে তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়। রেভারেন্ড ড্রিয়ুইট ছিলেন অ্যাংলিকান যাজক, রংপুরের ব্রিটিশ বন্ধুদের মাধ্যমে যার সাথে ড ঘোষের পরিচয় ছিল। ড্রিয়ুইট পরিবার তিন ভাইকে ব্যক্তিগত ভাবে শিক্ষাদান করেন।
১৮৮৪ সালে অরবিন্দ লন্ডনের সেইন্ট পলস স্কুলে ভর্তি হন। এখান থেকে গ্রীক, লাতিন এবং শেষ তিন বছরে সাহিত্য বিশেষতঃ ইংরেজী কাবিতা অধ্যয়ন করেন। ড কে. ডি. ঘোষ ভেবেছিলেন তার তিন পুত্রই সম্মানসূচক ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় পাশ করবেন, কিন্তু ১৮৮৯ সালে দেখা গেল একমাত্র সবার ছোট অরবিন্দই বাবার আশা পূরণ করতে পারবেন, বাকি ভাইয়েরা ইতোমধ্যেই ভিন্ন দিকে নিজ নিজ ভবিষ্যতের পথ বেছে নিয়েছেন। আইসিএস কর্মকর্তা হওয়ার জন্য ছাত্রদেরকে প্রতিযোগীতা মূলক পরীক্ষায় পাশ করতে হত এবং ইংরেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই বছর অধ্যয়নের অভিজ্ঞতাও প্রয়োজন ছিল। আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারনে বৃত্তি অর্জন ছাড়া ইংরেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখা পড়া করা অরবিন্দের পক্ষে সম্ভব ছিলনা। তিনি কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্ত কিংস কলেজের বৃত্তি পরীক্ষায় পাশ করায় তা সম্ভবপর হয়ে ওঠে। তিনি কয়েক মাস পর আইসিএস এর লিখিত পরীক্ষায় পাশ করেন ২৫০ প্রতিযোগীর মাঝে ১১তম স্থান অধিকার করে।

দুই বছর প্রবেশনের শেষ দিকে অরবিন্দ নিশ্চিত হন যে বৃটিশদের সেবা করার ইচ্ছা তার নেই, অতএব, আইসিএস পরীক্ষার অংশ অশ্বারোহণ পরীক্ষায় হাজির না হয়ে অকৃতকার্য হন। একই সময়ে বারোদার মহারাজ ৩য় সায়াজিরাও গায়কোয়াড় বিলেত ভ্রমন করছিলেন। স্যার হেনরি কটনের ভাই জেমস কটন, যিনি কিছুদিন বাংলার লেফটেন্যান্ট গভর্নর এবং সাউথ কেন্সিংটন লিবারেল ক্লাবের সচিব ছিলেন, অরবিন্দ ও তার বাবার পূর্ব পরিচিতির সুবাদে বারোদা স্টেস সার্ভিসে অরবিন্দের চাকুরির ব্যবস্থা করেন এবং যুবরাজের সাথে অরবিন্দের সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে দেন। অরবিন্দ বিলেত ছেড়ে ভারত অভিমুখে যাত্রা করেন ১৮৯৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে। ভারতে অপেক্ষারত অরবিন্দর বাবা বোম্বের এজেন্টের কাছ থেকে ভুল সংবাদ পান, পর্তুগালের ঊপকূলে অরবিন্দর জাহাজডুবি ঘটেছে। ড ঘোষ আগেই অসুস্থ ছিলেন, এই দুঃসংবাদের ধাক্কা সামলাতে না পেরে মৃত্যুবরণ করেন।

বারোদা এবং কলকাতা (১৮৯৩–১৯১০)
বারোদায় অরবিন্দ স্টেস সার্ভিসে যোগদান করেন সার্ভিস এন্ড সেটলমেন্ট বিভাগে, পরে কোষাগার হয়ে অবশেষে সচিবালয়ে গায়কোয়াড়ের জন্য বক্তৃতা লেখার কাজে নিযুক্ত হন। বারোদায় অরবিন্দ ভারতীয় সংস্কৃতির উপর গভীর অধ্যয়ন শুরু করেন, নিজ ঊদ্যোগে সংস্কৃত, হিন্দি এবং বাংলা, বিলেতের শিক্ষায় যেসব থেকে তাকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। অধ্যয়নে বেশি মনোযোগী হওয়ায় অন্যান্য কাজে সময়ানুবর্তীতার অভাব দেখা দেয় এবং ফলস্বরূপ পরবর্তীতে তাকে বারোদা কলেজে ফরাসি ভাষার শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। সেখানে অল্পদিনেই তিনি জনপ্রিয়তা পান অপ্রচলিত শিক্ষা পদ্ধতির কারনে। পরবর্তীতে কলেজের ঊপাধ্যক্ষ্যের পদেও আরোহণ করেন। তিনি বারোদা থেকেই তার প্রথম কাব্য সঙ্কলন “The Rishi” প্রকাশ করেন। একই সময়ে তিনি বৃটিশ বিরোধী সক্রিয় রাজনীতিতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। বারোদা স্টেটে অধিকৃত পদের কারনে পর্দার আড়াল থেকেই কাজ করা শুরু করেন। বাংলা ও মধ্য প্রদেশে ভ্রমন করে বিপ্লবী দলগুলোর সাথে সংযোগ স্থাপন করেন। লোকমান্য তিলক এবং ভগিনী নিবেদিতার সাথেও যোগাযোগ স্থাপিত হয়। বাঘা যতীন হিসেবে পরিচিত যতীন্দ্রনাথ ব্যানার্জীর জন্য তিনি বারোদার সেনাবিভাগে সামরিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন এবং পরবর্তীতে তাকে বাংলার অন্যান্য বিপ্লবী দলগুলোকে সংগঠিত করার কাজে পাঠান।

রচিত গ্রন্থ
অরবিন্দ ঘোষের রচিত ৩২ টি গ্রন্থের মধ্যে বাংলা গ্রন্থের সংখ্যা ৬টি। তাঁর উল্লেখযোগ্য কিছু গ্রন্থ:
The Life Divine
Essays on Gita
Savitri, Mother India
The Hero and the Nymph Urvasie
Song of Myrtilla and other Poems The age of Kalidasa
A System of National Education
The Renaissance in India
Speeches of Aurobinda

বাংলা গ্রন্থ:
কারাকাহিনী
ধর্ম ও জাতীয়তা
অরবিন্দের পত্র
……………….

লিখেছেন- প্রতাপ চন্দ্র সাহা।