কৌপিনতত্ত্ব ও বৈষ্ণব লক্ষণঃ
সনাতন বা হিন্দু ধর্মে কৌপিনতত্ত্বের গুরুত্ব অপরিসীম। সাধু বা বৈষ্ণবগণের চিনবার যে পাঁচটি লক্ষণ রয়েছে তাদের মধ্যে কৌপিন অপরিহার্য। বৈষ্ণবগনের ব্যাশ-ভূবণ দেখে সাধারণ মানুষ মোহিত হয়ে তার উত্তপ্ত হৃদয় শীতল হয়ে যায়। আর শীতলতার মধ্যেই ধর্মের বসবাস।
কৌপিনতত্ত্বঃ
কৌপিন পৃথিবীশ্চৈব, অনন্ত ডোরকং তথা।
বহির্বাস স্বয়ং শম্ভু নরনারায়ণ হরি।।
কৌপিনে নব দেবতাঃ
ব্রহ্মাবিষ্ণুশ্চ রুদ্রশ্চ সোমঃ শক্রো গুরুস্তথা।
বাসুকিঃ পরনোগ্নিশ্চ কৌপিনে নব দেবতা।
বহির্বাসঃ
কৌপিনাশ্রং ধৃতং বস্ত্র পুচ্ছে পুচ্ছে ন দীয়তে।
তস্য ঘোর পাপং ভূত্বা ব্রহ্মহত্যা পদে পদে।।
কৌপিনের পরিমাণঃ
চতুর্দশ মুষ্টি দীর্ঘ কৌপিন লইবে।
প্রস্থেতে প্রাদেশমিত প্রস্তুতে করিবে।।
চন্দনাদি দিয়া তাহা করিবে শোধন।
বিধি অনুসারে তাহা করিবে ধারণ।।
বৈষ্ণব লক্ষণঃ
তিলকং তুলসী মাল্য শিখা কৌপিন বহির্বাস।
হরের্নাম সদা মুখে বৈষ্ণব পঞ্চলক্ষণং।।
তিলক, তুলসীমালা, শিক্ষা ও কৌপিন।
বহির্বাস মুখে হরি নাম নিশিদিন।।
বৈষ্ণবের হয় এই পাঁচটি লক্ষণ।
শাস্ত্রমতে সেই তত্ত্ব করিনু বর্ণন।।
বৈষ্ণবের পাদপদ্ম হৃদে করি আশ।
বৈষ্ণব লক্ষণ কহে শ্রীচরণ দাস।
You must be logged in to post a comment.